Tuesday 17 March 2015

আল জুমোহ

 আল জুমোহ(রাঃ) হৃদয় ছিল আল্লাহ প্রেমে ভরা।
চলতে তাঁর কষ্ট হতো তিনি ছিলেন খোঁঁড়া।
পাঠিয়েছেন চার বীর পুত্রকে ওহোদ প্রান্তরে।
আল জুমোহরও  শহীদ হওয়ার শখ হলো অন্তরে।
যুদ্ধ যেতে বাধা দিলেন স্ত্রী আপনজন।
তোমার রয়েছে শরয়ী ওজর জিহাদের যাওয়ার নেই প্রয়োজন।
বাঁধা পেয়ে আল জুমোহ (রাঃ) যান নবীর কাছে।
ফরিয়াদ জানান ইচ্ছা হলো খোঁড়া পায়েই যেতে চাই বেহেস্তে।
সন্মতি দেন নবী বাঁধা দিওনা যেতে দাও জিহাদে।

হয়তো আল্লাহ পাক নসীব রেখেছেন শহীদে।
বীর বিক্রমে যুদ্ধ করেন কাফেরের বুহ্য ভেদ করে বাপ বেটাতে।
মনের জোশে বলতে থাকেন,বেহেস্তে যেতে চাই,আল্লাহর আদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই ধরাতে।
মনের আশা পূর্ণ হয় শহীদ হন ওহোদের যুদ্ধে।
হিন্দা(রাঃ) যাচ্ছিলেন উটের পিঠে তিনটি লাশ শুদ্ধে।
জিজ্ঞেস করেন মা আয়শা (রাঃ)যুদ্ধের কি ফলাফল।
রাসুল(সঃ) নিরাপদেই আছেন কাফেরদের আশা হয়েছে নিস্ফল।
মা আয়শা(রাঃ) শুধালেন উটের পিঠে লাশ কাদের।
আমার ভাই, পুত্র, স্বামীর নিয়ে যাচ্ছি মদিনায় করতে ব্যবস্হা দাফনের।
যতই চেষ্টা করেন হিন্দা(রাঃ) যেতে মদিনার পথে।
উট জমিনে শুয়ে পড়ে ,সামনে যায়না কোন মতে।
আয়শা (রাঃ)বললেন হয়তো বোঝা ভারী, তাই পারছেনা বইতে।
হিন্দা(রাঃ) বলেন এই উটটি দুইটি উটের বোঝা সহজেই পারে টানতে।
ওহোদের দিকে মুখ করলেই ছুটে চলে খুব জোরে।
হয়তো কোন কারন রয়েছে এর ভিতরে।
নিয়ে যান তিনি নবীজীর কাছে ওহোদের ময়দানে।
বললেন সব কথা হযরতে, আদেশ করুন অসুবিধা কোনখানে।
নবীজী(সঃ)বলেন আল জুমোহ(রাঃ)যাবার সময় বলেছিল কি কোন কথা।
হিন্দা (রাঃ)বলেন দোয়া করেছিলেন আল্লাহ আমাকে ফিরিয়ে এনো না হেথা।
আল্লাহ পাকের দরবারে কবুল হয়েছে তার সেই দোয়া।
নসীবে রয়েছে ওহোদ প্রান্তরে হবে তার শেষ শোয়া।

No comments:

Post a Comment